ভারতীয় সংবিধান বিষয় থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থেকে নেওয়া এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলো তোমাদের জন্য প্রস্তুত করা হলো।
![]() |
| Indian Constitution MCQ in Bangla – Section 04 |
📚 Indian Constitution MCQ – Section 04
Q1. সংসদের যেকোনো একটি কক্ষের সদস্য না হলে কোন ব্যক্তি মন্ত্রী পদে ___ এর বেশি থাকতে পারবেন না?
✅ Option: C) 6 মাস
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি সংসদের কোনও কক্ষের লোকসভা অথবা রাজ্যসভার সদস্য না হন, তবে তিনি সর্বাধিক 6 মাসের জন্য মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন। এই সময়সীমার মধ্যে তাকে সংসদের যেকোনো কক্ষের সদস্য হতে হবে, অন্যথায় তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি সংসদের কোনও কক্ষের লোকসভা অথবা রাজ্যসভার সদস্য না হন, তবে তিনি সর্বাধিক 6 মাসের জন্য মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন। এই সময়সীমার মধ্যে তাকে সংসদের যেকোনো কক্ষের সদস্য হতে হবে, অন্যথায় তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
Q2. ভারতীয় গণপরিষদকে সংবিধান গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয় কবে?
✅ Option: D) 22 জানুয়ারি 1947
ব্যাখ্যা: ভারতীয় গণপরিষদ প্রথম বৈঠক হয়েছিল 9 ডিসেম্বর 1946 সালে। কিন্তু 22 জানুয়ারি 1947 সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সংবিধান হবে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের জন্য।
ব্যাখ্যা: ভারতীয় গণপরিষদ প্রথম বৈঠক হয়েছিল 9 ডিসেম্বর 1946 সালে। কিন্তু 22 জানুয়ারি 1947 সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সংবিধান হবে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের জন্য।
Q3. ভারতীয় সংবিধানে বর্তমানে মোট কতটি ধারা রয়েছে?
✅ Option: B) 448
ব্যাখ্যা: ভারতীয় সংবিধানে একটি মাত্র প্রস্তাবনা রয়েছে। এটি সংবিধানের মূলনীতি, লক্ষ্য ও চেতনা প্রকাশ করে। সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় 1950 সালে 395টি ধারা ও 22টি ভাগ ছিল। বর্তমানে বিভিন্ন সংশোধনের মাধ্যমে তা বৃদ্ধি পেয়ে 2024 অনুযায়ী 448টি ধারা হয়েছে।
ব্যাখ্যা: ভারতীয় সংবিধানে একটি মাত্র প্রস্তাবনা রয়েছে। এটি সংবিধানের মূলনীতি, লক্ষ্য ও চেতনা প্রকাশ করে। সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় 1950 সালে 395টি ধারা ও 22টি ভাগ ছিল। বর্তমানে বিভিন্ন সংশোধনের মাধ্যমে তা বৃদ্ধি পেয়ে 2024 অনুযায়ী 448টি ধারা হয়েছে।
Q4. নিম্নলিখিত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্বাচিত হন না কে?
✅ Option: D) উপরাষ্ট্রপতি
ব্যাখ্যা: কারণ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচনের ব্যবস্থা আলাদা। উপরাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভার সকল সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী মণ্ডলী দ্বারা নির্বাচিত হন। মূল কারণগুলো হলো— 1. রাষ্ট্রপতি সমগ্র দেশের নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে সাংসদ ও রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যরা নির্বাচিত করেন, কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি কেবল সংসদ সদস্যদের দ্বারাই নির্বাচিত হন। 2. উপরাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রসভার পদাধিকারী সভাপতি। তাই তাঁর নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু সংসদকেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 3. যদি রাষ্ট্রপতি সরাসরি উপরাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করতেন, তাহলে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হতো এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংসদের ভূমিকা কমে যেত। সুতরাং, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতেই উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নয়, বরং সংসদের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন।
ব্যাখ্যা: কারণ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচনের ব্যবস্থা আলাদা। উপরাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভার সকল সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী মণ্ডলী দ্বারা নির্বাচিত হন। মূল কারণগুলো হলো— 1. রাষ্ট্রপতি সমগ্র দেশের নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে সাংসদ ও রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যরা নির্বাচিত করেন, কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি কেবল সংসদ সদস্যদের দ্বারাই নির্বাচিত হন। 2. উপরাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রসভার পদাধিকারী সভাপতি। তাই তাঁর নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু সংসদকেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 3. যদি রাষ্ট্রপতি সরাসরি উপরাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করতেন, তাহলে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হতো এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংসদের ভূমিকা কমে যেত। সুতরাং, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতেই উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নয়, বরং সংসদের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন।
Q5. সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজ অনুমোদন করে কে বা কারা ?
✅ Option: A) বিধানসভার সদস্যরা
ব্যাখ্যা: রাজ্যের শাসনব্যবস্থায় বিধানসভা হলো আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। সরকারের প্রতিটি দপ্তর বাজেট অনুমোদন, আইন প্রণয়ন ও কার্যক্রমের জন্য বিধানসভার অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল। বাজেট পাস না হলে কোনও দপ্তর অর্থ ব্যয় করতে পারে না। তাই, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজের অনুমোদন বিধানসভার সদস্যরা দেন, কারণ তারা বাজেট, বিল এবং প্রস্তাব পাস করেন।
ব্যাখ্যা: রাজ্যের শাসনব্যবস্থায় বিধানসভা হলো আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। সরকারের প্রতিটি দপ্তর বাজেট অনুমোদন, আইন প্রণয়ন ও কার্যক্রমের জন্য বিধানসভার অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল। বাজেট পাস না হলে কোনও দপ্তর অর্থ ব্যয় করতে পারে না। তাই, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজের অনুমোদন বিধানসভার সদস্যরা দেন, কারণ তারা বাজেট, বিল এবং প্রস্তাব পাস করেন।
Q6. সংবিধানের অষ্টম তফসিলে কোন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
✅ Option: B) ভাষার তালিকা
ব্যাখ্যা: অষ্টম তফসিলে বর্তমানে 22টি ভাষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রথমে সংবিধান প্রণয়নের সময় ভাষার সংখ্যা ছিল 14টি। পরে বিভিন্ন সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে আরও ভাষা যুক্ত হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত ভাষাসমূহ— অসাম, বাংলা, গুজরাটি, হিন্দি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কঙ্কণি, মালয়ালম, মণিপুরি, মারাঠি, নেপালি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, সংস্কৃত, সিন্ধি, তামিল, তেলেগু, উর্দু, বোড়ো, সাঁওতালি, মৈথিলি ও ডোগরি।
ব্যাখ্যা: অষ্টম তফসিলে বর্তমানে 22টি ভাষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রথমে সংবিধান প্রণয়নের সময় ভাষার সংখ্যা ছিল 14টি। পরে বিভিন্ন সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে আরও ভাষা যুক্ত হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত ভাষাসমূহ— অসাম, বাংলা, গুজরাটি, হিন্দি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কঙ্কণি, মালয়ালম, মণিপুরি, মারাঠি, নেপালি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, সংস্কৃত, সিন্ধি, তামিল, তেলেগু, উর্দু, বোড়ো, সাঁওতালি, মৈথিলি ও ডোগরি।
Q7. আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আয়ার কোন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলেন?
✅ Option: B) আইন
ব্যাখ্যা: তিনি ছিলেন দক্ষিণ ভারতের খ্যাতনামা আইনজীবী ও ভারতীয় সংবিধানের ড্রাফটিং কমিটির সদস্য।
ব্যাখ্যা: তিনি ছিলেন দক্ষিণ ভারতের খ্যাতনামা আইনজীবী ও ভারতীয় সংবিধানের ড্রাফটিং কমিটির সদস্য।
Q8. গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
✅ Option: C) নিউ দিল্লির সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে
ব্যাখ্যা: গণপরিষদের প্রথম বৈঠক 9 ডিসেম্বর 1946 সালে নিউ দিল্লির সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখানেই সংবিধান প্রণয়নের সমস্ত সভা সম্পন্ন হয়।
ব্যাখ্যা: গণপরিষদের প্রথম বৈঠক 9 ডিসেম্বর 1946 সালে নিউ দিল্লির সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখানেই সংবিধান প্রণয়নের সমস্ত সভা সম্পন্ন হয়।
Q9. নিম্নলিখিত কোনটি পূর্ব মৌলিক অধিকার থাকলেও, বর্তমানে এটি একটি আইনি অধিকার
✅ Option: D) শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার
ব্যাখ্যা: None
ব্যাখ্যা: None
Q10. ভারতীয় সংবিধানে মোট কত প্রকার জরুরি অবস্থা উল্লেখ করা রয়েছে?
✅ Option: C) 3টি
ব্যাখ্যা: ভারতীয় সংবিধানে তিন ধরনের জরুরি অবস্থা (Emergency) উল্লেখ করা হয়েছে—1. জাতীয় জরুরি অবস্থা (National Emergency) –যুদ্ধ, বহিঃআক্রমণ অথবা সশস্ত্র বিদ্রোহ হলে রাষ্ট্রপতি এটি ঘোষণা করতে পারেন। 2. রাজ্য জরুরি অবস্থা / রাষ্ট্রপতি শাসন – কোনো রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়লে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় 3. আর্থিক জরুরি অবস্থা – দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বা ঋণসংক্রান্ত পরিস্থিতি বিপন্ন হলে এটি জারি করা হয়।
ব্যাখ্যা: ভারতীয় সংবিধানে তিন ধরনের জরুরি অবস্থা (Emergency) উল্লেখ করা হয়েছে—1. জাতীয় জরুরি অবস্থা (National Emergency) –যুদ্ধ, বহিঃআক্রমণ অথবা সশস্ত্র বিদ্রোহ হলে রাষ্ট্রপতি এটি ঘোষণা করতে পারেন। 2. রাজ্য জরুরি অবস্থা / রাষ্ট্রপতি শাসন – কোনো রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়লে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় 3. আর্থিক জরুরি অবস্থা – দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বা ঋণসংক্রান্ত পরিস্থিতি বিপন্ন হলে এটি জারি করা হয়।
Q11. কোন অধিকার 93তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মৌলিক অধিকার রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে?
✅ Option: B) শিক্ষার অধিকার
ব্যাখ্যা: 93তম সংশোধন করে ভারতীয় সংবিধানের ধারা 21A সংযোজন করা হয়। এর মাধ্যমে 6 থেকে 14 বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা, মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই সংশোধনের ফলেই 2009 সালে Right to Education Act (RTE Act) কার্যকর হয়।
ব্যাখ্যা: 93তম সংশোধন করে ভারতীয় সংবিধানের ধারা 21A সংযোজন করা হয়। এর মাধ্যমে 6 থেকে 14 বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা, মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই সংশোধনের ফলেই 2009 সালে Right to Education Act (RTE Act) কার্যকর হয়।
Q12. ‘ওয়েলফেয়ার স্টেট’ সম্বন্ধে কোথায় বলা আছে?
✅ Option: C) নির্দেশমূলক নীতিসমূহে
ব্যাখ্যা: None
ব্যাখ্যা: None
Q13. সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার কত দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারি করা অর্ডিন্যাস সংসদে পাস হতে হবে
✅ Option: A) 6 সপ্তাহ
ব্যাখ্যা: অর্ডিন্যান্স হলো একটি সাময়িক আইন যা রাষ্ট্রপতি জারি করেন যখন সংসদের কোনো অধিবেশন চলছে না। এটি সংসদের উভয় কক্ষে (লোকসভা ও রাজ্যসভা) অনুমোদিত না হলে জারি হওয়ার তারিখ থেকে 6 সপ্তাহের মধ্যে কার্যকারিতা হারায়। সংবিধানের ধারা 123 অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্স সংসদে পেশ হওয়ার তারিখ থেকে 6 সপ্তাহের মধ্যে পাস না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়।
ব্যাখ্যা: অর্ডিন্যান্স হলো একটি সাময়িক আইন যা রাষ্ট্রপতি জারি করেন যখন সংসদের কোনো অধিবেশন চলছে না। এটি সংসদের উভয় কক্ষে (লোকসভা ও রাজ্যসভা) অনুমোদিত না হলে জারি হওয়ার তারিখ থেকে 6 সপ্তাহের মধ্যে কার্যকারিতা হারায়। সংবিধানের ধারা 123 অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্স সংসদে পেশ হওয়ার তারিখ থেকে 6 সপ্তাহের মধ্যে পাস না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়।
Q14. গণপরিষদে কাকে স্থায়ী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়?
✅ Option: B) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ
ব্যাখ্যা: 9 ডিসেম্বর 1946 সালে গণপরিষদের প্রথম বৈঠকে সাচিদানন্দ সিনহা অস্থায়ী সভাপতি ছিলেন। এরপর 11 ডিসেম্বর 1946 সালে ড. রাজেন্দ্র প্রসাদকে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
ব্যাখ্যা: 9 ডিসেম্বর 1946 সালে গণপরিষদের প্রথম বৈঠকে সাচিদানন্দ সিনহা অস্থায়ী সভাপতি ছিলেন। এরপর 11 ডিসেম্বর 1946 সালে ড. রাজেন্দ্র প্রসাদকে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
Q15. গণপরিষদের প্রথম বৈঠকে কে অস্থায়ী সভাপতি ছিলেন?
✅ Option: C) সাচিদানন্দ সিনহা
ব্যাখ্যা: গণপরিষদের প্রথম বৈঠক হয় 9 ডিসেম্বর 1946 সালে, যেখানে ড. সাচিদানন্দ সিনহা অস্থায়ী সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে 11 ডিসেম্বর 1946 সালে ড. রাজেন্দ্র প্রসাদকে স্থায়ী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
ব্যাখ্যা: গণপরিষদের প্রথম বৈঠক হয় 9 ডিসেম্বর 1946 সালে, যেখানে ড. সাচিদানন্দ সিনহা অস্থায়ী সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে 11 ডিসেম্বর 1946 সালে ড. রাজেন্দ্র প্রসাদকে স্থায়ী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
Q16. ভারতের শাসন ব্যবস্থার সমস্ত কাজ কার অধীনে হয়
✅ Option: B) সংসদ
ব্যাখ্যা: ভারত একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, যেখানে শাসনব্যবস্থার সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা হলো সংসদ। যেখানে আইন প্রণয়ন, বাজেট অনুমোদন, সরকারকে জবাবদিহি করানো ইত্যাদি সমস্ত কাজ সংসদের অধীনে পরিচালিত হয়। সংসদ গঠিত হয় রাষ্ট্রপতি, লোকসভা ও রাজ্যসভা নিয়ে।
ব্যাখ্যা: ভারত একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, যেখানে শাসনব্যবস্থার সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা হলো সংসদ। যেখানে আইন প্রণয়ন, বাজেট অনুমোদন, সরকারকে জবাবদিহি করানো ইত্যাদি সমস্ত কাজ সংসদের অধীনে পরিচালিত হয়। সংসদ গঠিত হয় রাষ্ট্রপতি, লোকসভা ও রাজ্যসভা নিয়ে।
Q17. রাজ্যের শাসনব্যবস্থার সর্বোচ্চ শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা কার হাতে রয়েছে
✅ Option: D) রাজ্যপাল
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজ্যপাল হলেন সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপালকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেন এবং তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন। মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদ রাজ্য পরিচালনার কার্যনির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করেন, কিন্তু সাংবিধানিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব রাজ্যপালের হাতে থাকে।গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ নেন, তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে তিনি নিজের বিবেচনায় কাজ করতে পারেন।
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজ্যপাল হলেন সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপালকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেন এবং তিনি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন। মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদ রাজ্য পরিচালনার কার্যনির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করেন, কিন্তু সাংবিধানিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব রাজ্যপালের হাতে থাকে।গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ নেন, তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে তিনি নিজের বিবেচনায় কাজ করতে পারেন।
Q18. ভারতীয় সংবিধানের 44 তম সংবিধানের মাধ্যমে কোন অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে?
✅ Option: C) সম্পত্তির অধিকার
ব্যাখ্যা: None
ব্যাখ্যা: None
Q19. ড্রাফটিং কমিটির কোন সদস্য ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও লেখক?
✅ Option: A) কে. এম. মুন্সি
ব্যাখ্যা: কে. এম. মুন্সি ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও লেখক।
ব্যাখ্যা: কে. এম. মুন্সি ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও লেখক।
Q20. সুপ্রিম কোর্ট কোন রিট জারি করে নিম্নতন আদালতকে নিজ সীমার মধ্যে কাজ করার নির্দেশ দেয়?
✅ Option: B) Prohibition
ব্যাখ্যা: যখন নিম্নতন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজ করতে যাচ্ছে, তখন সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্ট Prohibition রিট জারি করে সেই কার্যক্রম থামিয়ে দেয়। এটি কোনো চূড়ান্ত আদেশের আগে জারি করা হয়। আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজ করা থেকে বিরত রাখতে।
ব্যাখ্যা: যখন নিম্নতন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজ করতে যাচ্ছে, তখন সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্ট Prohibition রিট জারি করে সেই কার্যক্রম থামিয়ে দেয়। এটি কোনো চূড়ান্ত আদেশের আগে জারি করা হয়। আদালত বা ট্রাইব্যুনালকে তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজ করা থেকে বিরত রাখতে।
Q21. লোকসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই রাষ্ট্রপতি কার পরামর্শে লোকসভা ভেস্তে দিতে পারেন?
✅ Option: A) প্রধানমন্ত্রী
ব্যাখ্যা: ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, লোকসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র মন্ত্রিপরিষদের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে লোকসভা ভেঙে দিতে পারেন।সংবিধানের ধারা 85(2)(b) অনুসারে রাষ্ট্রপতি লোকসভা ভঙ্গ করতে পারেন। তবে এই ক্ষমতা তিনি স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শেই রাষ্ট্রপতি এই সিদ্ধান্ত নেন।
ব্যাখ্যা: ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, লোকসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র মন্ত্রিপরিষদের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে লোকসভা ভেঙে দিতে পারেন।সংবিধানের ধারা 85(2)(b) অনুসারে রাষ্ট্রপতি লোকসভা ভঙ্গ করতে পারেন। তবে এই ক্ষমতা তিনি স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শেই রাষ্ট্রপতি এই সিদ্ধান্ত নেন।
Q22. ভারতীয় সংবিধানের ড্রাফটিং কমিটি গঠিত হয় কবে?
✅ Option: C) 29 আগস্ট 1947
ব্যাখ্যা: সংবিধান প্রণয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য গণপরিষদ 29 আগস্ট 1947 সালে ড্রাফটিং কমিটি গঠন করে এবং ড. বি. আর. আম্বেদকরকে এর সভাপতি মনোনীত করে।
ব্যাখ্যা: সংবিধান প্রণয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য গণপরিষদ 29 আগস্ট 1947 সালে ড্রাফটিং কমিটি গঠন করে এবং ড. বি. আর. আম্বেদকরকে এর সভাপতি মনোনীত করে।
Q23. মন্ত্রিসভা কার কাছে যৌথভাবে দায়বদ্ধ থাকে
✅ Option: A) লোকসভা
ব্যাখ্যা: None
ব্যাখ্যা: None
Q24. ভারতীয় সংবিধানের ড্রাফটিং কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
✅ Option: B) ড. বি. আর. আম্বেদকর
ব্যাখ্যা: ড্রাফটিং কমিটি 29 আগস্ট 1947 সালে গঠিত হয় এবং ড. বি. আর. আম্বেদকরকে সভাপতি করা হয়। এই কমিটিতে মোট সাতজন সদস্য ছিলেন।
ব্যাখ্যা: ড্রাফটিং কমিটি 29 আগস্ট 1947 সালে গঠিত হয় এবং ড. বি. আর. আম্বেদকরকে সভাপতি করা হয়। এই কমিটিতে মোট সাতজন সদস্য ছিলেন।
Q25. ভারতের জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয়েছিল?
✅ Option: B) 22 জুলাই 1947
ব্যাখ্যা: 22 জুলাই 1947 সালে গণপরিষদ ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করে।
ব্যাখ্যা: 22 জুলাই 1947 সালে গণপরিষদ ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করে।
Q26. ‘ভারত রাষ্ট্র একটি সংযুক্ত রাষ্ট্র’ – এই ধারণাটি কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখিত?
✅ Option: A) অনুচ্ছেদ 1
ব্যাখ্যা: অনুচ্ছেদ 1 অনুযায়ী – “ভারত অর্থাৎ ভারতবর্ষ হবে রাজ্যের এক ইউনিয়ন”।
ব্যাখ্যা: অনুচ্ছেদ 1 অনুযায়ী – “ভারত অর্থাৎ ভারতবর্ষ হবে রাজ্যের এক ইউনিয়ন”।
Q27. ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতীয় গণপরিষদের ভূমিকা কী ছিল?
✅ Option: B) গণপরিষদ গঠনের প্রস্তাবনা প্রদান
ব্যাখ্যা: ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনা (16 মে 1946) অনুযায়ী গণপরিষদ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যাতে ভারতীয়রা নিজেদের সংবিধান তৈরি করতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব গণপরিষদকে দেওয়া হয় 22 জানুয়ারি 1947 সালে।
ব্যাখ্যা: ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনা (16 মে 1946) অনুযায়ী গণপরিষদ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যাতে ভারতীয়রা নিজেদের সংবিধান তৈরি করতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব গণপরিষদকে দেওয়া হয় 22 জানুয়ারি 1947 সালে।
Q28. নির্দেশমূলক নীতি সমূহের ধারণাটি কোন দেশ থেকে গৃহীত হয়েছে
✅ Option: B) আয়ারল্যান্ড
ব্যাখ্যা: ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতি (Directive Principles of State Policy - DPSP) এর ধারণাটি আয়ারল্যান্ডের সংবিধান থেকে গৃহীত হয়েছে। নির্দেশমূলক নীতি গুলি রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণের জন্য একটি নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে। এগুলি আদালত দ্বারা বলবৎযোগ্য নয়, তবে দেশের শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। ভারতীয় সংবিধানের অধ্যায় IV (ধারা 36-51) তে এটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আয়ারল্যান্ড তার সংবিধানে এই ধরনের নীতির ব্যবস্থা করেছিল ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার পরে, যা পরে ভারত গ্রহণ করেছে।
ব্যাখ্যা: ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতি (Directive Principles of State Policy - DPSP) এর ধারণাটি আয়ারল্যান্ডের সংবিধান থেকে গৃহীত হয়েছে। নির্দেশমূলক নীতি গুলি রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণের জন্য একটি নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে। এগুলি আদালত দ্বারা বলবৎযোগ্য নয়, তবে দেশের শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। ভারতীয় সংবিধানের অধ্যায় IV (ধারা 36-51) তে এটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আয়ারল্যান্ড তার সংবিধানে এই ধরনের নীতির ব্যবস্থা করেছিল ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার পরে, যা পরে ভারত গ্রহণ করেছে।
Q29. ভারতীয় সংবিধানের ড্রাফটিং কমিটির সদস্য সংখ্যা কত ছিল?
✅ Option: B) 7 জন
ব্যাখ্যা: ড্রাফটিং কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল 7 জন তারা হলেন- 1. ড. বি. আর. আম্বেদকর, 2. কে. এম. মুন্সি, 3. এন. গোপালাস্বামী আয়্যাঙ্গার, 4. আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আয়ার, 5. সৈয়দ মোহাম্মদ সাদুল্লা, 6. বি. এল. মিত্তর, 7. ডি. পি. খেতান ।
ব্যাখ্যা: ড্রাফটিং কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল 7 জন তারা হলেন- 1. ড. বি. আর. আম্বেদকর, 2. কে. এম. মুন্সি, 3. এন. গোপালাস্বামী আয়্যাঙ্গার, 4. আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আয়ার, 5. সৈয়দ মোহাম্মদ সাদুল্লা, 6. বি. এল. মিত্তর, 7. ডি. পি. খেতান ।
Q30. ড্রাফটিং কমিটির কোন সদস্য আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন?
✅ Option: A) সৈয়দ মোহাম্মদ সাদুল্লা
ব্যাখ্যা: তিনি আসামের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সংবিধান প্রণয়নে অবদান রাখেন।
ব্যাখ্যা: তিনি আসামের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সংবিধান প্রণয়নে অবদান রাখেন।
Q31. ভারতীয় সংবিধানের সংসদীয় পদ্ধতি কোন দেশের সংবিধান থেকে গৃহীত?
✅ Option: C) ব্রিটেন
ব্যাখ্যা: ব্রিটিশ সংবিধান থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া ও মন্ত্রিসভার সম্মিলিত দায়িত্বের ধারণা নেওয়া হয়েছে।
ব্যাখ্যা: ব্রিটিশ সংবিধান থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া ও মন্ত্রিসভার সম্মিলিত দায়িত্বের ধারণা নেওয়া হয়েছে।
Q32. ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকার কোন দেশের সংবিধান থেকে গৃহীত?
✅ Option: B) আমেরিকা
ব্যাখ্যা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান থেকে মৌলিক অধিকার ও বিচারিক পর্যালোচনার ধারণা গৃহীত হয়েছে।
ব্যাখ্যা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান থেকে মৌলিক অধিকার ও বিচারিক পর্যালোচনার ধারণা গৃহীত হয়েছে।
Q33. ভারতের জাতীয় গান ও জাতীয় সংগীত কবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল?
✅ Option: C) 24 জানুয়ারি 1950
ব্যাখ্যা: জাতীয় সংগীত (National Anthem) – জন গণ মন 24 জানুয়ারি 1950 সালে গণপরিষদ দ্বারা অনুমোদিত হয়। ও জাতীয় গান (National Song) – বন্দে মাতরম্ একই দিনে জাতীয় গান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ব্যাখ্যা: জাতীয় সংগীত (National Anthem) – জন গণ মন 24 জানুয়ারি 1950 সালে গণপরিষদ দ্বারা অনুমোদিত হয়। ও জাতীয় গান (National Song) – বন্দে মাতরম্ একই দিনে জাতীয় গান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
Q34. বি. এল. মিত্তরের স্থলাভিষিক্ত কে হন ড্রাফটিং কমিটিতে?
✅ Option: B) ডি. পি. খেতান
ব্যাখ্যা: বি. এল. মিত্তরের মৃত্যুর পর ডি. পি. খেতান তাঁর স্থান গ্রহণ করেন।
ব্যাখ্যা: বি. এল. মিত্তরের মৃত্যুর পর ডি. পি. খেতান তাঁর স্থান গ্রহণ করেন।
Q35. ভারতের জাতীয় প্রতীক কোনটি?
✅ Option: A) অশোক স্তম্ভের সিংহচূড়া
ব্যাখ্যা: সারণাথের অশোক স্তম্ভের সিংহচূড়া ভারতের জাতীয় প্রতীক।
ব্যাখ্যা: সারণাথের অশোক স্তম্ভের সিংহচূড়া ভারতের জাতীয় প্রতীক।
Q36. ড্রাফটিং কমিটিতে প্রাথমিকভাবে অন্তর্ভুক্ত কিন্তু পরবর্তীতে মৃত্যুবরণকারী সদস্য কে ছিলেন?
✅ Option: B) বি. এল. মিত্তর
ব্যাখ্যা: বি. এল. মিত্তরের মৃত্যুর পর ডি. পি. খেতানকে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ব্যাখ্যা: বি. এল. মিত্তরের মৃত্যুর পর ডি. পি. খেতানকে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
Q37. হাইকোর্টের বিচারপতিকে কে অপসারণ করতে পারেন
✅ Option: C) রাষ্ট্রপতি
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্টের বিচারপতিকে অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। সংবিধানের ধারা 217(1)(b) অনুযায়ী, হাইকোর্টের বিচারপতিকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারেন। তবে রাষ্ট্রপতি এই ক্ষমতা নিজের ইচ্ছায় প্রয়োগ করতে পারেন না। সংসদের উভয় কক্ষের বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভোটে অভিশংসন প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি অপসারণের আদেশ জারি করেন। অপসারণের কারণ হতে হবে – 1. অসদাচরণ (Proven Misbehaviour) অথবা 2. অক্ষমতা (Incapacity)।
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্টের বিচারপতিকে অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। সংবিধানের ধারা 217(1)(b) অনুযায়ী, হাইকোর্টের বিচারপতিকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারেন। তবে রাষ্ট্রপতি এই ক্ষমতা নিজের ইচ্ছায় প্রয়োগ করতে পারেন না। সংসদের উভয় কক্ষের বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভোটে অভিশংসন প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি অপসারণের আদেশ জারি করেন। অপসারণের কারণ হতে হবে – 1. অসদাচরণ (Proven Misbehaviour) অথবা 2. অক্ষমতা (Incapacity)।
Q38. ড্রাফটিং কমিটির কোন সদস্য জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
✅ Option: C) এন. গোপালাস্বামী আয়্যাঙ্গার
ব্যাখ্যা: None
ব্যাখ্যা: None
Q39. ভারত কোন ধরনের রাষ্ট্র?
✅ Option: A) ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রজাতান্ত্রিক
ব্যাখ্যা: ভারত একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, যা সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখিত।
ব্যাখ্যা: ভারত একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, যা সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখিত।
Q40. ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ভারতের মূল রাজনৈতিক কাঠামো কোথায় উল্লেখিত?
✅ Option: B) প্রস্তাবনায়
ব্যাখ্যা: সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতের রাজনৈতিক চরিত্র ও মৌলিক নীতি বর্ণিত হয়েছে।
ব্যাখ্যা: সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতের রাজনৈতিক চরিত্র ও মৌলিক নীতি বর্ণিত হয়েছে।
Q41. রাজ্যসভার মোট কতজন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত করতে পারেন?
✅ Option: C) 12 জন
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ 80 অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় 12 জন সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন। এই মনোনীত সদস্যরা সাধারণত সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং সমাজসেবামূলক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে হবে।
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ 80 অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় 12 জন সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন। এই মনোনীত সদস্যরা সাধারণত সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং সমাজসেবামূলক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে হবে।
Q42. বলবন্ত রাই মেহতা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় যে যে স্তর থাকে সেগুলি হল?
✅ Option: A) গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ
ব্যাখ্যা: 1957 সালে গঠিত বলবন্ত রাই মেহতা কমিটি পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার জন্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কাঠামো প্রস্তাব করেছিল—1. গ্রাম পঞ্চায়েত (গ্রাম স্তর) 2. পঞ্চায়েত সমিতি (ব্লক স্তর) 3. জেলা পরিষদ (জেলা স্তর)।
ব্যাখ্যা: 1957 সালে গঠিত বলবন্ত রাই মেহতা কমিটি পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার জন্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কাঠামো প্রস্তাব করেছিল—1. গ্রাম পঞ্চায়েত (গ্রাম স্তর) 2. পঞ্চায়েত সমিতি (ব্লক স্তর) 3. জেলা পরিষদ (জেলা স্তর)।
Q43. অরুণাঞ্চল প্রদেশ কোন হাইকোর্টের আওতায় পড়ে?
✅ Option: A) গৌহাটি হাইকোর্ট
ব্যাখ্যা: অরুণাচল প্রদেশ গৌহাটি হাইকোর্টের অধীনে পড়ে। এই হাইকোর্টের বেঞ্চ ইটানগরে অবস্থিত। গৌহাটি হাইকোর্টের এখতিয়ার অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও অরুণাচল প্রদেশের উপর রয়েছে।
ব্যাখ্যা: অরুণাচল প্রদেশ গৌহাটি হাইকোর্টের অধীনে পড়ে। এই হাইকোর্টের বেঞ্চ ইটানগরে অবস্থিত। গৌহাটি হাইকোর্টের এখতিয়ার অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও অরুণাচল প্রদেশের উপর রয়েছে।
Q44. ডেমোক্রেসি শব্দটি কোন ভাষা থেকে উদ্ভূত?
✅ Option: D) গ্ৰীক
ব্যাখ্যা: “Democracy” শব্দটি গ্রীক ভাষা থেকে উদ্ভূত। এখানে “Demos” অর্থ জনগণ এবং “Kratos” অর্থ শাসন বা ক্ষমতা। তাই Democracy অর্থ হলো জনগণের দ্বারা শাসন।
ব্যাখ্যা: “Democracy” শব্দটি গ্রীক ভাষা থেকে উদ্ভূত। এখানে “Demos” অর্থ জনগণ এবং “Kratos” অর্থ শাসন বা ক্ষমতা। তাই Democracy অর্থ হলো জনগণের দ্বারা শাসন।
Q45. কোন সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ভোটারধিকার লাভের প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বয়স 21 বছর থেকে কমিয়ে 18 বছর করা হয়?
✅ Option: C) 61তম সংশোধনী
ব্যাখ্যা: 1989 সালের 61তম সংবিধান সংশোধনী আইন অনুসারে ভোটাধিকার পাওয়ার ন্যূনতম বয়স 21 বছর থেকে কমিয়ে 18 বছর করা হয়। এই সংশোধনী 1950 সালের জনগণনা আইনকেও প্রভাবিত করে এবং তরুণদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।
ব্যাখ্যা: 1989 সালের 61তম সংবিধান সংশোধনী আইন অনুসারে ভোটাধিকার পাওয়ার ন্যূনতম বয়স 21 বছর থেকে কমিয়ে 18 বছর করা হয়। এই সংশোধনী 1950 সালের জনগণনা আইনকেও প্রভাবিত করে এবং তরুণদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।
Q46. পঞ্চায়েতেরাজ ব্যবস্থায় স্থানীয় সমিতির আওতার মধ্যে নিম্নলিখিত কোনটি পড়ে না?
✅ Option: C) নিয়ম-শৃঙ্খলা
ব্যাখ্যা: সঠিক উত্তর নিয়ম শৃঙ্খলা কারণ পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থায় স্থানীয় সমিতি মূলত স্থানীয় উন্নয়ন, পরিষেবা প্রদান, জনকল্যাণমূলক কাজ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত। নিয়ম-শৃঙ্খলা অর্থাৎ Law & Order রক্ষা করার দায়িত্ব রাজ্যের পুলিশ, আদালত, প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থার, যা স্থানীয় পঞ্চায়েতের আওতার বাইরে। পঞ্চায়েতের কাজ মূলত গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, সড়ক, আলো ইত্যাদির মধ্যে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।
ব্যাখ্যা: সঠিক উত্তর নিয়ম শৃঙ্খলা কারণ পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থায় স্থানীয় সমিতি মূলত স্থানীয় উন্নয়ন, পরিষেবা প্রদান, জনকল্যাণমূলক কাজ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত। নিয়ম-শৃঙ্খলা অর্থাৎ Law & Order রক্ষা করার দায়িত্ব রাজ্যের পুলিশ, আদালত, প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থার, যা স্থানীয় পঞ্চায়েতের আওতার বাইরে। পঞ্চায়েতের কাজ মূলত গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, সড়ক, আলো ইত্যাদির মধ্যে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।
Q47. সংবিধানের সপ্তম তপসিলের আলোচ্য বিষয় কী?
✅ Option: C) কেন্দ্র, রাজ্য ও সমবায় তালিকা
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধানের সপ্তম তপসিলে (Seventh Schedule) কেন্দ্র, রাজ্য ও সমবায় (Concurrent) তালিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মাধ্যমে কোন কোন বিষয়ের উপর কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বা উভয়েই আইন প্রণয়ন করতে পারবে তা নির্ধারিত রয়েছে। যেমন- 1.কেন্দ্র তালিকা (Union List): প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, মুদ্রা ইত্যাদি।2.রাজ্য তালিকা (State List): পুলিশ, কৃষি, স্থানীয় সরকার ইত্যাদি। 3.সমবায় তালিকা (Concurrent List): শিক্ষা, বন, বিবাহ আইন ইত্যাদি।
ব্যাখ্যা: ভারতের সংবিধানের সপ্তম তপসিলে (Seventh Schedule) কেন্দ্র, রাজ্য ও সমবায় (Concurrent) তালিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মাধ্যমে কোন কোন বিষয়ের উপর কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বা উভয়েই আইন প্রণয়ন করতে পারবে তা নির্ধারিত রয়েছে। যেমন- 1.কেন্দ্র তালিকা (Union List): প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, মুদ্রা ইত্যাদি।2.রাজ্য তালিকা (State List): পুলিশ, কৃষি, স্থানীয় সরকার ইত্যাদি। 3.সমবায় তালিকা (Concurrent List): শিক্ষা, বন, বিবাহ আইন ইত্যাদি।
Q48. ভারতীয় বিচারব্যবস্থার শীর্ষে কে রয়েছে?
✅ Option: C) সুপ্রিম কোর্ট
ব্যাখ্যা: None
ব্যাখ্যা: None
Q49. পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার ত্রিস্তর কাঠামোর সর্বোচ্চ স্তরে কোনটি?
✅ Option: C) জেলা পরিষদ
ব্যাখ্যা: None
ব্যাখ্যা: None
Q50. কোন রাজ্যে ভোটারদের সংখ্যা সর্বাধিক?
✅ Option: C) উত্তর প্রদেশ
ব্যাখ্যা: নির্বাচনী রোলস অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ভোটার সংখ্যার পরিমাণ সর্বাধিক প্রায় 15.3 কোটি — যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর মহারাষ্ট্র (9.8–9.1 কোটি), বিহার (7.6–7.8 কোটি) ও পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু রয়েছে।
ব্যাখ্যা: নির্বাচনী রোলস অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ভোটার সংখ্যার পরিমাণ সর্বাধিক প্রায় 15.3 কোটি — যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর মহারাষ্ট্র (9.8–9.1 কোটি), বিহার (7.6–7.8 কোটি) ও পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু রয়েছে।
Correct: 0
Wrong: 0
Total Point: 0

Hi Today gk guide Viewer please, Do Not Spam In Comments